মোঃসামছু উদ্দিন লিটন, বিশেষ প্রতিনিধি নোয়াখালী
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে ম্যাজিস্ট্রাট ও চাটখিলে পুলিশ সেজে চাঁদাবাজীর করার সময় মোঃ হাবিবুর রহমান (২১) ও সোহাগ মৃধা (২০) এবং দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (২৭জুন) দুপুর ২টা ২০মিনিটের দিকে বেগমগঞ্জের চৌমুহনী বাজারে হকার্স মার্কেট থেকে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজির করার সময় মোঃ হাবিবুর রহমানকে এবং দুপুর পৌনে ১টার দিকে চাটখিল উপজেলার বদলকোট থেকে পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি করার সময় সোহাগ মৃধাকে পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগীতায় গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত হাবিব চৌমুহনী পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপুর গ্রামের মোঃ অলি উল্লার ছেলে। এবংসোহাগ মৃধা ফরিদপুর জেলার ভাঙা উপজেলার হামিদ্দি গ্রামের মৃত খোকন মৃধার ছেলে। সে একটি কোম্পানীর মার্কেটিংয়ে চাকরি করে এবং চাটখিলের দশগরিয়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকে।
চাটখিল থানার সূত্রে জানাগেছে, রোববার সকালে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ীদের দোকানের কাগজপত্র চেক করার নামে চাঁদাবাজি করে ওই যুবক। দুপুর পৌনে ১টার দিকে বদলকোর্ট সড়কের একটি ইলেকট্রনিক দোকান থেকে তাকে আটক করা হয়। সে ওই ইলেকট্রনিক দোকানে গিয়ে নিজেকে পুলিশ পরিচয় দেয়। পরে দোকানির কাছ থেকে ট্রেডলাইসেন্স দেখতে চায়, দোকানি ট্রেডলাইসেন্স দেখানোর পর সে জানায়, এটা ডিজিটাল করা নেই এজন্য ব্যবসায়ীকে জরিমানা দিতে হবে। এ সময় ওই ব্যবসায়ী কৌশলে তাকে দোকানে বসিয়ে রেখে থানায় খবর দেয়।
বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুপুর ২টার দিকে হাবিব বেগমগঞ্জের চৌমুহনী বাজারের হকার্স মার্কেটের কয়েকটি দোকান, লকডাউনে খোলা রাখার কারণে পুলিশের এসআই, এবং কোন কোন দোকানে ম্যাজিষ্ট্রেট পরিচয়ে টাকা দাবি করলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
বেগমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার ও চাটখিল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত কওে জানান, আটককৃত আসামিদের বিরুদ্ধে এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ওই মামলার আলোকে আটককৃত আসামিদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।