মোঃসামছু উদ্দিন লিটন,বিশেষ প্রতিনিধি নোয়াখালী
নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলায় সম্পত্তিগত বিরোধের জের ধরে অন্যের বসত বাড়ীর সীমানা দেয়াল ভাংচুর ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের প্রাননাশের হুমকি প্রদর্শনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ৭ নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মোহাম্মদপুর আনসার আলী মিয়াজী বাড়ীর
রেজাউল হক গং ও মৃত জাকের হোসেন গংদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত সম্পত্তির বিরোধ চলে আসছিলো। তারই ধারাবাহিকতায় বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে উভয় পরিবারের সদস্যগন।এসময় মৃত জাকের হোসেন এর স্ত্রী শেফালী বেগম (৫৫) ও পুত্র সাকিল হোসেন (২৬) দুজনে মিলে, রেজাউল হকের বসত বাড়ীর নির্মিত ইটের তৈরি সীমানা দেয়াল ভাংচুর করে এবং রেজাউল হকের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন (৫৫) ও পুত্র এমরান হোসেন (২৪) কে প্রাননাশের হুমকি প্রদর্শন করে।
ভুক্তভোগী ফাতেমা খাতুন বলেন, উক্ত সীমানা দেয়াল ও সীমানা পিলার গুলো ৬ বছর পুর্বে স্থানীয় শালিসদারদের নির্দেশ ও পরামর্শক্রমে নির্মাণ করা হয়। গতকাল হঠাৎ করে বিবাদী গন মারমুখী হয়ে আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও প্রাননাশের হুমকি প্রদর্শন করতে থাকে। তখন আমরা নিরুপায় হয়ে ৯৯৯ তে ফোন দিলে সেনবাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিদর্শন করে চলে যায়।বর্তমানে আমরা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ৭ নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জহির হোসেন স্বপন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মোরশেদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, সীমানা দেয়াল ভাংচুরের বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ও অপ্রত্যাশিত। ফাতেমা খাতুন এর পিতা কাবিল মিয়া ২০ শতাংশ জায়গা মৃত জাকের হোসেন ও তার ভাই জাফরের নিকট বিক্রি করার সুবাদে জাকেরের পরিবার বিগত কয়েক মাস থেকে খরিদকৃত সম্পত্তির পরিপূর্ণ বুঝে পাওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলো। সেই ধারাবাহিকতায় এলাকার গনমান্য ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে দফায় দফায় বৈঠক ও জায়গা পরিমাপ করা হয়। বর্তমানে পরিমাপকৃত সম্পত্তির ট্রেসিং হাতে আসার অপেক্ষায় আছে শালিশদারগন।ট্রেসিং হাতে এলেই উভয় পক্ষের সম্পত্তি বুঝিয়ে দিয়ে উক্ত সমস্যার নিষ্পত্তি করা হবে। যেহেতু বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চলমান, সেহেতু অন্যের ভোগ দখলীয় সম্পত্তিতে ভাংচুর ও প্রাননাশের হুমকি প্রদর্শন করা অন্যায়ের শামিল।
অপরদিকে ভুক্তভোগী ফাতেমা খাতুন তার পরিবারের জানমালের নিরাপত্তা ও উক্ত সমস্যার দ্রুত সমাধান নিশ্চিত করতে এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন