স্টাফ রিপোর্টার সিলেট থেকে:
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা ৯নং রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের মইনা গ্রামের ১৬ বছরের এক মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক বলৎকারের ঘটনার জের-ধরে উল্টো নির্যাতনকারীদের পরিকল্পিত হামলার ঘটনায় কানাইঘাট থানায় মামলা দায়ের করা করেছেন নির্যাতনের শিকার ঐ কিশোরের পিতা আনোয়ার হোসেন। মামলা দায়েরের পর থেকে আসামীদের গ্রেফতারে চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
থানায় দায়ের করা এজাহার সূত্রে জানা যায়, কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের মইনা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছেলে হাসনাত গত ১০ এপ্রিল গ্রামের পাশ্ববর্তী খাগড়িকান্দি টিলার পাশে নিজেদের গৃহপালিত গরু চরাইতে গেলে পাশ্ববর্তী নয়ামাটি গ্রামের বাসিন্দা মৃত নুরুল হকের ছেলে আম্বিয়া (২৮) হাসনাতকে একা পেয়ে জোরপূর্বক বলৎকারের প্রস্তাব দেয়। তখন হাসনাত তার কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আম্বিয়া জোরপূর্ব হাসনাতকে মাটিতে ফেলে বলৎকারের চেষ্টা সহ শারিরীক ভাবে নির্যাতন করে।
এ ঘটনায় হাসনাতের পিতা আনোয়ার হোসেন স্থানীয় আম্বিয়ার মুরব্বিদের কাছে বিচারপ্রার্থী হলে গত ১২/৪/২০২১ ইং রাত অনুমান সাড়ে ৮টার দিকে সরাজাগঞ্জ বাজাস্থ গরুহাটায় পেয়ে মারধর করে রক্তারক্ত যখম করে। এসময় আম্বিয়ার সাথে নয়ামাটি গ্রামের সৈয়ব মিয়ার ছেলে বাদশা মিয়া, রহমত আলীর ছেলে জাহেদ আহমদ, কনাই মিয়ার ছেলে আব্দুল্লা। এ সময় হামলার স্বীকার হাসনাতকে রক্ষা করতে গেলে আনোয়ার হোসেননহ তার পিতাকেও রক্তারক্ত যখম করে হামলাকারীরা এবং আনোয়ারের সঙ্গে থাকা নগদ ৬৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা।
পরে স্থানীয় বাজারের লোকজন এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন। পরে এ ঘটনায় আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে গত ১৬ এপ্রিল নয়ামাটি গ্রামের নুরুল হকের ছেলে আম্বিয়া, সৈয়ব মিয়ার ছেলে বাদশা মিয়া, রহমত আলীর ছেলে জাহেদ আহমদ, কনাই মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাকে আসামী করে কানাইঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার কথা স্বীকার করে থানার এসআই সঞ্জিত বলেন, আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশী অভিযান চলছে বলে জানান।