বরিশাল প্রতিনিধিঃ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ভাশুরের লাথিতে ছোট ভাইয়ের তিন মাসের অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী’র গর্ভপাত হয়েছে। প্রভাবশালী এক মেম্বরের হস্তক্ষেপে মামলা করতে পারেনী ভুক্তভোগী। দু’সপ্তাহ গ্রাম্য মাতুব্বরদের কাছে ধর্না ধরে কোন বিচার পায়নি ভুক্তভোগী ওই নারী। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে উঠেপরে লেগেছে ওই এলাকার মেম্বর মেহেদী হাচান মিঠুন।
জানাগেছে,উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের আমবৌলা গ্রামের জালাল খানের স্ত্রী নাসিমা বেগমকে জালালের বড় ভাই রেয়াজুল খান পারিবারিক কলহের জেরে গত ১৪ অক্টোবর তিন মাসের অন্তঃস্বত্তা নাসিমা বেগমকে পেটের উপর লাথি মারলে তার গর্ভপাত ঘটে। ওই দিনই অসুস্থ্য অবস্থায় পয়সার হাট আর্দশ জেনারেল হাসপাতালে তাকে গুতুত্বর অবস্থায় ভর্তি করা হয়। এঘটনায় নাসিমা বেগম এর পিতা কোটালীপাড়া উপজেলার কাকদাঙ্গা গোপালপুল গ্রামের ইলিয়াচ শিকদার আগৈলঝাড়া থানায় মামলা করতে আসলে বাগধা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড প্রভাবশালী মেম্বর মেহেদী হাচান মিথুন গ্রাম্য শালিশ মিমাংসার কথা বলে থানা থেকে তাদের নিয়ে যায়।ওইদিনই আগৈলঝাড়া থানার এস আই ফোরকান ঘটনাস্থান পরিদর্শন করে। প্রভাবশালী মেম্বর মেহেদী হাচান মিথুন টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে উঠেপরে লেগেছে। ভুক্তভোগীরা মেম্বর ও গ্রাম্য মাতুব্বরদের কাছে দু’সপ্তাহে ধর্না ধরে কোন বিচার পায়নি।আইনি সহায়তা পেতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
জালাল খানের তিনমাসের অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের জানান, আমার স্বামীর পরিবারের লোকজন বিভিন্ন সময় অকারনে গালিগালাজ মারধর করে থাকে তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ অক্টোবর আমার ভাশুর রেয়াজুল খান অকারনে আমাকেগালিগালাজ করে মারধর করে আমার তলপেটে লাথি মারে এতে আমার তিন মাসের গর্ভে সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে। আমার পরিবারের লোকজন আগৈলঝাড়া থানায় মামলা করতে গেলে বাগধা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বর মেহেদী হাচান মিথুন গ্রাম্য শালিশ মিমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে তাদেরকে থানা থেকে নিয়ে আছে। এঘটনা ১৮দিন অতিবাহিত হলেও মেম্বর মেহেদী হাচান মিথুন গ্রাম্য শালিশ মিমাংসা করে দেয়নি। আমার ভাশুর বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য শালিশদের টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করে রেখেছে তাই কোন মিমাংসা হয়নি। আইনি সহায়তা পেতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
অভিযুক্ত রেয়াজুল খান এর সাথে (০১৭১৪৬৪১২৬৬) নম্বরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননী।
বাগধা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বর মেহেদী হাচান মিথুন জানান. থানা থেকে শালিশ মিমাংসার দায়িত্ব দিলেও গ্রাম্য শালিশ বর্গ সময় না দেওয়ায় শালিশ মিমাংসা করা যায়নি। তবে অভিযুক্তর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা বলে জানান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আগৈলঝাড়া থানার এস আই ফোরকান সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি জানার পরে ঘটনাস্থাল পরিদর্শন করেছি। ভুক্তভোগীরা কোন অভিযোগ না করার আইনি ব্যাবস্থা নেওয়া যায়নি।
আগৈলঝাড়া থানার ওসি গোলাম ছরোয়ার জানান. আমি কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
বার্তা প্রেরক
মোল্লা আজিজুল
বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশাল।